গ্রীষ্মে কবুতরের যত্ন ◆
গ্রীষ্মে কবুতরের যত্ন ◆
.
গরম তো চলেই এলো ৷ অনেক কবুতর পালক যেন হাফ ছেড়ে
বেঁচেছেন ৷ "যাক এখন আর কবুতরের কোন সম্যসা হবে না
৷" সত্যিই কি তাই? গরমে কি কবুতরের সম্যসা হয় না?
সঠিক ব্যবস্থা না নিলে গরমেও কবুতরের সম্যসা হয় ৷
আসুন জেনে নেই, গরমে কবুতরকে ভাল রাখতে আমাদের
কবুতর পালকদের কী কী করতে হবে ৷
গরম তো চলেই এলো ৷ অনেক কবুতর পালক যেন হাফ ছেড়ে
বেঁচেছেন ৷ "যাক এখন আর কবুতরের কোন সম্যসা হবে না
৷" সত্যিই কি তাই? গরমে কি কবুতরের সম্যসা হয় না?
সঠিক ব্যবস্থা না নিলে গরমেও কবুতরের সম্যসা হয় ৷
আসুন জেনে নেই, গরমে কবুতরকে ভাল রাখতে আমাদের
কবুতর পালকদের কী কী করতে হবে ৷
.
• কবুতরের বাসস্থানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে
হবে ৷ কবুতরের বাসস্থান খোলা জায়গায় হলে তো কোন
সম্যসা নাই ৷ তবে ঘরে পাললে প্রয়োজনে ফ্যানের
ব্যবস্থা করতে হবে ৷ ভেন্টিলেটর থাকতে হবে ৷ বেশি
গরম হলে এয়ার বাইপাস ফ্যান লাগাতে হবে, যেন গরম
বাতাস বের হয়ে যেতে পারে ৷ কবুতরের বাসস্থানের
তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে বড়
কবুতরের সম্যসা না হলেও বাচ্চা কবুতরের সম্যসা হবে ৷
খুব বেশি গরম পরলে বড় কবুতরও হিট স্ট্রোক করতে পারে ৷
কবুতরের বাসস্থানের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের নিচে রাখার চেষ্টা করুন ৷
.
• ছেড়ে পালা কবুতর তো নিজে থেকেই ছায়া খুজে
নেবে ৷ খাঁচার কবুতরের গায়ে যেন রোদ না লাগে
সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ৷ বারান্দায় কবুতর পাললে
এবং বারান্দায় রোদ আসলে বারান্দা ঢেকে রাখুন ৷
ঘরের মধ্যে খাঁচায় রাখা কবুতরের গায়ে রোদ পরলে
খাঁচার রোদের দিকটা ঢেকে দিতে হবে ৷ ছেড়ে পালা
কবুতরের খোপের মধ্যে যেন বেশিক্ষণ রোদ না থাকে
সেদিকটাও দেখতে হবে ৷ খোপের ভিতরে বেশিক্ষণ
রোদ থাকলে ডিমে তা দেয়া কবুতর এবং খোপে থাকা
বাচ্চা কবুতর পানিশূন্যতায় ভুগবে ৷ বাচ্চা মারাও যেতে
পারে ৷
.
• গরমের সময় কবুতরকে তেলবীজ (সরিষা, সূর্যমুখীর বীজ,
কুসুম ফুলের বীজ) কম দিন ৷
.
• 4P, BB, 3vit, HOO, বহু (power booster) গরমের সময়
সামান্য কম হলেও বেশি দেয়া যাবে না ৷
.
• কবুতরের পানিশূন্যতা পূরনে ও কবুতরের শরীর ঠান্ডা
রাখতে
- liken (১ লিটার পানিতে ১ মিলি) অথবা স্যালাইন
- গ্লুকোজ (১ লিটার পানিতে ২ চামচ) ৫ দিন,
- অ্যালোভেরা (১ লিটার পানিতে ১ পাতা) মাসে ৫
দিন,
- রূহ আফজা (১ লিটার পানিতে ১০ মিলি) মাসে ৫ দিন,
- হামদর্দের কুলজাম (১ লিটার পানিতে ২/৩ মিলি)
মাসে ৩ দিন,
- ১ টি লেবুর রস + ১ চামচ লবন, ১ লিটার পানিতে
মিশিয়ে ভাল করে ছেকে দেয়া যেতে পারে, মাসে ৩
দিন। এর সাথে তাল মিশ্রি দিতে পারেন।
অ্যালোভেরা, কমলার জুস, রূহ আফজার সাথেও তাল
মিশ্রি দিলে ভাল ৷
- পিউনা (puna) ১ লিটার পানিতে ৪ চামচ, প্রতি মাসে ৩
দিন ৷ যে দিন গুলোতে লিভার টনিক দেবেন, সে
দিনগুলোতে পিউনা দেবেন না ৷ লিভার টনিক দেবার
৩/৪ দিন আগে পরে পিউনা দেবেন ৷
.
• পানির পাত্রে সব সময় পরিষ্কার পানি রাখতে হবে ৷
.
• কবুতরকে ঠান্ডা পানি দিতে হবে ৷ তবে ফ্রিজের
ঠান্ডা পানি দেয়া যাবে না ৷
.
• কমলা লেবুর জুস, তরমুজ, আঙ্গুর, আম, আনারস খাওয়াতে
পারেন ৷
.
• প্রতি সপ্তাহেই গোসল করানোর ব্যবস্থা করুন ৷ বেশি
গরম পরলে সপ্তাহে ২ দিন ৷
.
• মানুষের জন্য উপকারী অনেক কিছুই কবুতরের জন্যও
উপকারী, তাই বলে না জেনে মানুষের জন্য উপকারী সব
কিছুই কবুতরকে দিতে যাবেন না ৷
.
• মাসিক ছক থেকে KC বাদ দিয়ে বাকিগুলো নিয়মিত
সরবরাহ করুন ৷ ভাল মানের গ্রিট দিন ৷ দুই মাস পর পর
নিয়মানুযায়ী কৃমিনাশক খাওয়ান ৷ কবুতরের বাসস্থান
পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত রাখুন ৷ গরমের সময় বেশি রোগ
দেখা না গেলেও গরমজনিত সম্যসা দেখা যায়,
সেগুলোর চিকিৎসার ঔষুধ সংগ্রহে রাখুন ৷
.
• গরমে কবুতরের পাতলা পায়খানা হওয়া স্বাভাবিক
ব্যাপার ৷ পাতলা পায়খানা হলে শীতের সময়ও
এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা উচিত না, গরমে তো অবশ্যই
না ৷ গরমের সময় এন্টিবায়োটিক কবুতরের কুলিং
সিস্টেমে বাধা প্রদান করে ৷ কবুতর পাতলা পায়খানা
করলে হোমিও ঔষুধ প্রয়োগ করুন ৷ হামদর্দের পেচিসও
প্রয়োগ করতে পারেন, অর্ধেক করে দিনে ৩ বার, ১টা
করেও দিতে পারেন ৷ সাথে অবশ্যই স্যালাইন দিতে হবে
৷
.
• গরমে ঔষুধ নষ্ট হয় তাড়াতাডি ৷ ঔষুধ ভাল রাখতে ঔষুধ
৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে,
ফ্রিজেও রাখতে পারেন ৷
• কবুতরের বাসস্থানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে
হবে ৷ কবুতরের বাসস্থান খোলা জায়গায় হলে তো কোন
সম্যসা নাই ৷ তবে ঘরে পাললে প্রয়োজনে ফ্যানের
ব্যবস্থা করতে হবে ৷ ভেন্টিলেটর থাকতে হবে ৷ বেশি
গরম হলে এয়ার বাইপাস ফ্যান লাগাতে হবে, যেন গরম
বাতাস বের হয়ে যেতে পারে ৷ কবুতরের বাসস্থানের
তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে বড়
কবুতরের সম্যসা না হলেও বাচ্চা কবুতরের সম্যসা হবে ৷
খুব বেশি গরম পরলে বড় কবুতরও হিট স্ট্রোক করতে পারে ৷
কবুতরের বাসস্থানের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের নিচে রাখার চেষ্টা করুন ৷
.
• ছেড়ে পালা কবুতর তো নিজে থেকেই ছায়া খুজে
নেবে ৷ খাঁচার কবুতরের গায়ে যেন রোদ না লাগে
সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ৷ বারান্দায় কবুতর পাললে
এবং বারান্দায় রোদ আসলে বারান্দা ঢেকে রাখুন ৷
ঘরের মধ্যে খাঁচায় রাখা কবুতরের গায়ে রোদ পরলে
খাঁচার রোদের দিকটা ঢেকে দিতে হবে ৷ ছেড়ে পালা
কবুতরের খোপের মধ্যে যেন বেশিক্ষণ রোদ না থাকে
সেদিকটাও দেখতে হবে ৷ খোপের ভিতরে বেশিক্ষণ
রোদ থাকলে ডিমে তা দেয়া কবুতর এবং খোপে থাকা
বাচ্চা কবুতর পানিশূন্যতায় ভুগবে ৷ বাচ্চা মারাও যেতে
পারে ৷
.
• গরমের সময় কবুতরকে তেলবীজ (সরিষা, সূর্যমুখীর বীজ,
কুসুম ফুলের বীজ) কম দিন ৷
.
• 4P, BB, 3vit, HOO, বহু (power booster) গরমের সময়
সামান্য কম হলেও বেশি দেয়া যাবে না ৷
.
• কবুতরের পানিশূন্যতা পূরনে ও কবুতরের শরীর ঠান্ডা
রাখতে
- liken (১ লিটার পানিতে ১ মিলি) অথবা স্যালাইন
- গ্লুকোজ (১ লিটার পানিতে ২ চামচ) ৫ দিন,
- অ্যালোভেরা (১ লিটার পানিতে ১ পাতা) মাসে ৫
দিন,
- রূহ আফজা (১ লিটার পানিতে ১০ মিলি) মাসে ৫ দিন,
- হামদর্দের কুলজাম (১ লিটার পানিতে ২/৩ মিলি)
মাসে ৩ দিন,
- ১ টি লেবুর রস + ১ চামচ লবন, ১ লিটার পানিতে
মিশিয়ে ভাল করে ছেকে দেয়া যেতে পারে, মাসে ৩
দিন। এর সাথে তাল মিশ্রি দিতে পারেন।
অ্যালোভেরা, কমলার জুস, রূহ আফজার সাথেও তাল
মিশ্রি দিলে ভাল ৷
- পিউনা (puna) ১ লিটার পানিতে ৪ চামচ, প্রতি মাসে ৩
দিন ৷ যে দিন গুলোতে লিভার টনিক দেবেন, সে
দিনগুলোতে পিউনা দেবেন না ৷ লিভার টনিক দেবার
৩/৪ দিন আগে পরে পিউনা দেবেন ৷
.
• পানির পাত্রে সব সময় পরিষ্কার পানি রাখতে হবে ৷
.
• কবুতরকে ঠান্ডা পানি দিতে হবে ৷ তবে ফ্রিজের
ঠান্ডা পানি দেয়া যাবে না ৷
.
• কমলা লেবুর জুস, তরমুজ, আঙ্গুর, আম, আনারস খাওয়াতে
পারেন ৷
.
• প্রতি সপ্তাহেই গোসল করানোর ব্যবস্থা করুন ৷ বেশি
গরম পরলে সপ্তাহে ২ দিন ৷
.
• মানুষের জন্য উপকারী অনেক কিছুই কবুতরের জন্যও
উপকারী, তাই বলে না জেনে মানুষের জন্য উপকারী সব
কিছুই কবুতরকে দিতে যাবেন না ৷
.
• মাসিক ছক থেকে KC বাদ দিয়ে বাকিগুলো নিয়মিত
সরবরাহ করুন ৷ ভাল মানের গ্রিট দিন ৷ দুই মাস পর পর
নিয়মানুযায়ী কৃমিনাশক খাওয়ান ৷ কবুতরের বাসস্থান
পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত রাখুন ৷ গরমের সময় বেশি রোগ
দেখা না গেলেও গরমজনিত সম্যসা দেখা যায়,
সেগুলোর চিকিৎসার ঔষুধ সংগ্রহে রাখুন ৷
.
• গরমে কবুতরের পাতলা পায়খানা হওয়া স্বাভাবিক
ব্যাপার ৷ পাতলা পায়খানা হলে শীতের সময়ও
এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা উচিত না, গরমে তো অবশ্যই
না ৷ গরমের সময় এন্টিবায়োটিক কবুতরের কুলিং
সিস্টেমে বাধা প্রদান করে ৷ কবুতর পাতলা পায়খানা
করলে হোমিও ঔষুধ প্রয়োগ করুন ৷ হামদর্দের পেচিসও
প্রয়োগ করতে পারেন, অর্ধেক করে দিনে ৩ বার, ১টা
করেও দিতে পারেন ৷ সাথে অবশ্যই স্যালাইন দিতে হবে
৷
.
• গরমে ঔষুধ নষ্ট হয় তাড়াতাডি ৷ ঔষুধ ভাল রাখতে ঔষুধ
৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে,
ফ্রিজেও রাখতে পারেন ৷
Comments
Post a Comment