পিজন পক্স
পিজন পক্স .
এমন কোন কবুতর ফেন্সিয়ার খুজে পাওয়া মুশকিল যে এই পিজন পক্স এর উপদ্রব মুক্ত থেকে কবুতর পালন করতে পারছেন।এটি একটি ভাইরাল রোগ যা সাধারনতঃ বেবী কবুতরের ভেতর সব থেকে বেশী দেখা যায়। পিজন পক্স দু ধরনের দেখা যায় যাখুব সম্ভবত দুটি ভিন্ন পথে সংক্রমন ঘটে।
সব থেকে কমন পিজন পক্স সংক্রমনের উৎস হচ্ছে মশা। মশার কামড় থেকে ভাইরাস কবুতরের দেহে প্রবেশ করে এবং দেহেরপশম হীন স্থানগুলোতে যেমন ঠোট, চোখের চার পাশ, পা, পায়ু পথের চারপাশ ইত্যাদি স্থানে মশার কামড়ের স্থানে হলদে গোটাতৈরি হয়। সাধারনত ৩/৪ সপ্তাহের ভেতর গোটাগুলো আপনা থেকেই শুকিয়ে পড়ে যায়।
দ্বিতীয় ধরনের সংক্রমন খুব সম্ভবত ড্রপলেট সংক্রমন যা শ্বসন-তন্ত্র দ্বারা সংক্রমিত হয়ে এটা সাধারনত মুখের মিউকাসমেমব্রেনগুলোতে ঘা বা ক্ষত সৃষ্টি করে। এই ধরনের সংক্রমন মারত্মক। আক্রান্ত কবুতর সুস্থতা লাভ করলেও ঠোট বেকে যেতেপারে। অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত কবুতর খাওয়া বন্ধ করে দেয়, দ্রুত ওজন হ্রাস পায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে, এবং আস্তে আস্তেমৃত্যু মুখে ঢলে পড়ে।
প্রায়শঃই এই দুই ধরনের সম্মিলিত সংক্রমন দেখা যায়। পায়ে এবং ঠোটে গোটা ওঠার সাথে সাথে মুখের ভেতরেও ঘা তৈরি হয়।অনেকে এই মুখের ভেতরে ঘা-কে ক্যাংকারের সাথে মিলিয়ে ফেললেও আসলে এটা ক্যাংকার নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব মুখেরঘা সার্জিকালি রিমুভ করার প্রয়োজন হয়।
যেহেতু এটা ভাইরাস রোগ তাই অন্য যেকোন ভাইরাস রোগের মতোই এর কোন ঔষধ নেই। তবে কিছু পদক্ষেপ নিলে অল্প সময়েএই পক্সের গোটা শুকাতে সাহায্যকরী হতে পারে।
যেমন: প্রতিদিন ইন্সুলিন নেবার সিরিঞ্জের সুচ দিয়ে গোটাগুলোতে পাংচার (গোটার ওপরের আবরন দু তিন স্থানে ফুটা করেদেয়া) করে দেবার পর ব্যাক্ট্রোসিন অয়েনমেন্ট লাগিয়ে দিলে দ্রুত গোটা শুকিয়ে যায়। সুচ বেশী ভেতরে ঢুকান যাবে না। শুধু মাত্রওপরের আবরনটুকু ফুটো করে দিতে হবে।
কবুতরের পক্স, বসন্ত বা মশার কামড় বা গুটির রোগের চিকিৎসা পদ্ধতিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো-
১। গোটায় লাগানোর ঔষধ
২। খাবার ওষুধ
গোটায় লাগানোর ওষুধ হচ্ছে-
১। ভায়োডিন
২। ব্যাকটোসিন
৩। ক্যালামাইন লোশন
৪। ফোনা
ভায়োডিন ওষুধটি কোন ক্ষত, গোটা বা ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। ব্যাকটোসিন এবং ফোনা এই মলম দুটি শরীরে সৃষ্ট যেকোনো গোটা ক্ষত বা পক্স জাতীয় রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
ক্যালামাইন লোশন ঘামাচি, পক্স এই জাতীয় রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। মূল্য 35 থেকে 40 টাকা।
ব্যবহারবিধি গুলো হবে এইরকম ভাবে-
ভায়োডিন লাগাবেন দিনে তিনবার ,ক্যালামাইন লোশন লাগাবেন দিনে দুই থেকে তিনবার এবং ব্যাকটোসিন এবং ফোনা লাগাবেন দিনে দুই থেকে তিনবার। (টানা 7 দিন এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে)
খাবার ওষুধ গুলো হচ্ছে-
১। রিবোমিন / রিবোসন
2। ফ্লুক্লক্স (fluclox) ৫০০ এম জি
Riboson /রিবোসন
আক্রান্ত কবুতরকে প্রতিদিন ২ বেলা ২টা করে সকালে এবং সন্ধ্যার সময় খাওয়াবেন।
১মাসের ছুটো কবুতরের বাচ্চাকে ১টা করে ২বেলা দিবেন।
�প্রতিরোধ:
(ক) ভাক্সিনেশন। আমাদের দেশে খুব সম্ভবত পাওয়া যায় না।
(খ) মশার কামড় থেকে কবুতরকে বিশেষ করে বেবী কবুতরকে রক্ষা করা।
(গ) লফট বা খাচা চট বা মশারীর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা (সন্ধ্যা থেকে সকাল) একটি কার্যকর পদ্ধতি।
এই পোস্ট আপনাদের উপকারে আসলে একটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন। ধন্যবাদ...
Comments
Post a Comment