কবুতরের প্যারাটাইফয়েড (সাল্মোনেলাসিস)

 


কবুতরের প্যারাটাইফয়েড (সাল্মোনেলাসিস)


কবুতরের ভেতর সব থেকে বেশী সংক্রামিত একটি রোগ যা ইদুর প্রজাতীয় যে কোন প্রানীতেলাপোকালফটে আনা অসুস্থ নতুনকবুতরকবুতর ফেন্সিয়ারের জুতা কিংবা বুনো প্রজাতীর কবুতরের সংস্পর্শ থেকে সংক্রামিত হতে পারে।

অনেক সময় এই রোগে সংক্রামিত এডাল্ট কবুতর সুস্থ হবার পরো এই রোগের ক্যারিয়ার হয়ে বেচে থাকে। এদের ড্রপিংস থেকেমাঝে মাঝেই এই রোগ লফটে ছড়িয়ে পরতে দেখা যায়।




লক্ষন:

সাল্মোনেলার জীবানূ মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কবুতরের প্রায় সারা দেহে ছড়িয়ে পরতে পারে। তাই এই রোগের লক্ষন অনেক ভাবেপ্রকাশ পেতে পারে।



(অধিকাংশ এডাল্ট কবুতরের ক্ষেত্রে দ্রুত ওজন হ্রাসের সাথে পাতলা সবুজ (আমযুক্ত আঠালোড্রপিংস দেখা যায়।

(পা এবং ডানার জয়েন্ট ফুলে যাওয়া

(উইং বয়েল বা ডানার ওপরের দিকে ফোড়ার মতো ফুলে ওঠা।

(খুড়িয়ে বা পা ছেচড়ে হাটা

(ডিম না জমা (ক্যারিয়ার পারেন্টস)

(ডিম ফোটার / দিন আগে ডিমের ভেতর বেবী মারা যাওয়া (ক্যারিয়ার প্যারেন্টস)

(ডিম জমার কিছু দিন পর বেবী মারা যাওয়া এবং ডিম কালো এবং/অথবা হাল্কা হয়ে যাওয়া।

(নেস্টে বেবী কবুতরের শ্বাসকষ্ট হওয়া।

(নেস্টে বেবী মারা যাওয়া। সাধারনতঃ বেবী ফোটার দ্বিতীয় সপ্তাহের পূর্বেই এটা বেশী দেখা যায়তবে আরো পরেও এটা হতেপারে। (ক্যারিয়ার প্যারেন্টস)

(টুইস্টেড নেক বা নেক প্যারালাইসিস যা টাল রোগ নামে পরিচিত। (কোন কোন ক্ষেত্রে)

(এক চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়া (কোন কোন ক্ষেত্রে)

(হঠাৎ করে দৃষ্টিগোচর কারন ছাড়া মৃত্যু

(আপাতঃ সুস্থ সবল কবুতরের সার্বক্ষনিক ডাইরিয়া বা প্রচুর পানি সহ ড্রপিংস (ক্যারিয়ার)





প্রতিরোধ:

(লফট হাইজিন সম্পর্কিত বায়োসিকিউরিটি মেইন্টেইন করা।

(নতুন কবুতর সংযোজনের ক্ষেত্রে বায়োসিকিউরিটি মেনে।চলা

(ভ্যাক্সিনেশন। ভ্যাক্সিনেশন ছাড়া প্রকৃতপক্ষে সাল্মোনেলা সংক্রমন থেকে রক্ষা পাবার সম্ভাবনা কম কিন্তু আমাদের দেশেএই ভ্যাক্সিন সহযলভ্য নয়।

(লফট ইদুর প্রজাতির প্রানীতেলাপোকা মুক্ত রাখা এবং কবুতরকে বুনো কবুতরের সংস্পর্শ থেকে রক্ষা করা।

(নিয়মিত পানিতে এসিডিফাইয়ার ব্যবহার করা একটি পরিক্ষীত কার্যকর প্রতিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে গন্য হয়। এক্ষেত্রে 

-ACV :  মিলি/লিটার

বায়োট্রনিক ৩৪ :  মিলি/লিটার

হেমিকো পিএইচ :  মিলি/লিটার

২৫ ফোটা লেবুর রস +  চামুচ চিনি +  চিমটি লবন ৫০০ মিলি পানিতে

মাসে টানা  দিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

(স্ট্রেস নিয়ন্ত্রন



*** সাল্মোনেলা রোগের সংক্রমন হলে নুন্যতম ১০ থেকে ১৪ দিনের এন্টিবাইওটিক কোর্স করানো খুব জরুরী। এর থেকে কমসময়ের কোর্স করানো হলে আপাত দৃষ্টিতে কবুতরটিকে সুস্থ হয়ে উঠতে দেখা গেলেও মনে দেহের ভেতরে জিবানু থেকে যাবারকারনে কবুতরটি সাল্মোনেলার ক্যারিয়ার হয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত।


এই পোস্ট আপনাদের উপকারে আসলে একটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুন। ধন্যবাদ...




Comments

Popular posts from this blog

গ্রীষ্মে কবুতরের যত্ন ◆

পিজন পক্স

কবুতরের কৃমি